মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি ।।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের নির্ভয়পুর গ্রামে মাটির রাস্তায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট ইটের সলিং বসাতে নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ফলে এ সড়কের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার ও নবাগত ইউএনও রুবাইয়া খানম’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নির্ভয়পুর গ্রামের মর্তুজা মেম্বারের বাড়ির সামনে থেকে ৮’শ মিটার দৈর্ঘ্য মাটির রাস্তায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট ইটের সলিং কাজ চলমান রয়েছে। এ রাস্তার কাজে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার অধিকাংশই নিম্নমানের ও নাম্বারবিহীন। এতে ব্যবহৃত বালুর মধ্যেও রয়েছে বেশিরভাগ মাটি।
স্থানীয় রুকু মিয়ার পুকুর থেকেও মাটি কেটে, ওই মাটি দিয়ে রাস্তার আংশিক কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা এসব দিয়ে রাস্তার কাজ করতে নিষেধ করলেও, ঠিকাদারের শ্রমিকরা তা শুনছেন না।
বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত রাস্তাটির মান ভালো না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিলেও কিছুতেই কর্ণপাত করছেন না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতর (পিআইও) থেকে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ৮০০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এইচ কবির। তবে কাজ করছেন স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি। অভিযোগ আছে, রাস্তাটি নির্মাণকাজের শুরু থেকেই অনিয়ম চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও বালু।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, রাস্তাটি যে ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে, তা কোনো নাম্বারের মধ্যেই পড়ে না। শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট-বালি দিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন ঠিকাদার। এভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হলে, তা বেশিদিন টিকবে না।
রাস্তার কাজের মান নিশ্চিত করতে সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার ও নবাগত ইউএনও রুবাইয়া খানম এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে রাস্তা নির্মানে নিন্ম মানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পিআইও কে অবগত করি। ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, রাস্তার কাজের মান খারাপ হলে তা বন্ধ করে দিতে বলেছি। কাজের মান এর বিষয়ে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।